রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে দল মনোনীত প্রার্থী নিয়ে চরম অস্বস্তিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, এই আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমানকে। ডিএম জিয়ার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নানা বিতর্ক ও অসংগতিতে ভরা। উচ্ছৃঙ্খল ও হঠকারী আচরণ, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, সন্ত্রাসী গ্রুপ লালনপালন ছাড়াও অতীতে দলবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন।
দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৪ সালে বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থীকে একবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কয়েক বছর পর নিজেই তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে দুই খাদ্য কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীর ভাই ডিএম শাফিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আর প্রার্থীর এসব ইমেজ সংকটের কারণে রাজশাহী-৪ আসনে বিএনপির একটা বড় অংশই মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, রাজশাহী-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে বড় ত্রুটি হয়েছে। এসব কারণে বিএনপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের প্রার্থী ডা. আব্দুল বারীর সমর্থন বাড়ছে। এমনকি ক্ষুব্ধ অনেক বিএনপি নেতাকর্মীও ভেতরে ভেতরে জামায়াত প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন।
রাজশাহী-৪ আসনটি বাগমারা উপজেলা নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সালের আগে এই আসনটি বাগমারা ও পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। মোট ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৬৫ জন। আসনটি পুনর্গঠনের আগে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে পরপর দুইবার এই আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী আবু হেনা।
এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক সংসদ-সদস্য হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি এই আসনে প্রার্থী করেছিল অধ্যাপক আব্দুল গোফুরকে। এবার এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১২ জন। কিন্তু ৩ নভেম্বর বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমানকে। ডিএম জিয়াকে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বাগমারায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা।
মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন দলেরই একাংশের নেতাকর্মীরা। আক্রান্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই ডিএম জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার। রাজশাহী-৪ আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বাগমারায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের বড় অংশই ডিএম জিয়ার মনোনয়নকে আগামী নির্বাচনে দলের জন্য বড় বিপর্যয়ের আগাম সংকেত হিসাবে দেখছেন।
নেতাকর্মীরা অভিযোগে আরও বলেছেন, ডিএম জিয়া কর্মী বান্ধব নেতা নন। অতীতে তার হঠকারিতায় বাগমারা এলাকায় দল ও দলের নেতাকর্মীরা নানা সংকটে পড়েছেন। ডিএম জিয়া ও তার ভাই ডিএম শাফির ক্যাডার বাহিনীর নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে শুধু দলের নেতাকর্মীরাই নয়, বাগমারার সাধারণ মানুষের মাঝেও উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে এখন ডিএম জিয়া ঠেকাও মনোভাব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
এর অনিবার্য ফল হবে রাজশাহী-৪ আসনে বিএনপির বড় বিপর্যয়। এদিকে ১৮ নভেম্বর বাগমারা উপজেলা ও এলাকার দুই পৌর বিএনপির ৩৭ পদধারী বিএনপি নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মনোনীত প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমানের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে।
অভিযোগনামায় স্বাক্ষরকারী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর গাফ্ফার মাস্টার বলেন, বাগমারাকে একসময় রক্তাক্ত জনপদ বলা হতো। বাগমারার মানুষ অতীতে বিভিন্ন সময়ে নৃশংস সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। এখনো সন্ত্রাসের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারছে না। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরাও। এই প্রার্থীর কারণে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতে পারছি না।
দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৪ সালে বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থীকে একবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কয়েক বছর পর নিজেই তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে দুই খাদ্য কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীর ভাই ডিএম শাফিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আর প্রার্থীর এসব ইমেজ সংকটের কারণে রাজশাহী-৪ আসনে বিএনপির একটা বড় অংশই মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, রাজশাহী-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে বড় ত্রুটি হয়েছে। এসব কারণে বিএনপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের প্রার্থী ডা. আব্দুল বারীর সমর্থন বাড়ছে। এমনকি ক্ষুব্ধ অনেক বিএনপি নেতাকর্মীও ভেতরে ভেতরে জামায়াত প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিচ্ছেন।
রাজশাহী-৪ আসনটি বাগমারা উপজেলা নিয়ে গঠিত। ২০০৮ সালের আগে এই আসনটি বাগমারা ও পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। মোট ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৬৫ জন। আসনটি পুনর্গঠনের আগে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে পরপর দুইবার এই আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী আবু হেনা।
এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক সংসদ-সদস্য হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি এই আসনে প্রার্থী করেছিল অধ্যাপক আব্দুল গোফুরকে। এবার এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১২ জন। কিন্তু ৩ নভেম্বর বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমানকে। ডিএম জিয়াকে প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই বাগমারায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা।
মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন দলেরই একাংশের নেতাকর্মীরা। আক্রান্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই ডিএম জিয়ার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার। রাজশাহী-৪ আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বাগমারায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের বড় অংশই ডিএম জিয়ার মনোনয়নকে আগামী নির্বাচনে দলের জন্য বড় বিপর্যয়ের আগাম সংকেত হিসাবে দেখছেন।
নেতাকর্মীরা অভিযোগে আরও বলেছেন, ডিএম জিয়া কর্মী বান্ধব নেতা নন। অতীতে তার হঠকারিতায় বাগমারা এলাকায় দল ও দলের নেতাকর্মীরা নানা সংকটে পড়েছেন। ডিএম জিয়া ও তার ভাই ডিএম শাফির ক্যাডার বাহিনীর নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে শুধু দলের নেতাকর্মীরাই নয়, বাগমারার সাধারণ মানুষের মাঝেও উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে এখন ডিএম জিয়া ঠেকাও মনোভাব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
এর অনিবার্য ফল হবে রাজশাহী-৪ আসনে বিএনপির বড় বিপর্যয়। এদিকে ১৮ নভেম্বর বাগমারা উপজেলা ও এলাকার দুই পৌর বিএনপির ৩৭ পদধারী বিএনপি নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মনোনীত প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমানের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে।
অভিযোগনামায় স্বাক্ষরকারী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর গাফ্ফার মাস্টার বলেন, বাগমারাকে একসময় রক্তাক্ত জনপদ বলা হতো। বাগমারার মানুষ অতীতে বিভিন্ন সময়ে নৃশংস সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। এখনো সন্ত্রাসের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারছে না। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরাও। এই প্রার্থীর কারণে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চাইতে পারছি না।
প্রতিনিধি :